সুদীপ রাহা , জয়া দত্তকে দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে এলেন মুখ‍্যমন্ত্রী

9th August 2021 1:17 pm কলকাতা
সুদীপ রাহা , জয়া দত্তকে দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে এলেন মুখ‍্যমন্ত্রী


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কলকাতা ) :  ত্রিপুরায় গিয়ে বিজেপি কর্মীদের আক্রমণে আহতদের দেখতে এসএসকেএম হাসপাতালে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ঝাড়গ্রাম যাবার পথে হাসপাতালে হঠাৎই চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। খোঁজ নেন ত্রিপুরা আহত সুদীপ ও জয়া র শারীরিক অবস্থা। হাসপাতলে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।  শনিবার, ৮ জন দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা ত্রিপুরায় আহত হয়েছেন। তারপর রবিবার গভীর রাতেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তকে। প্রাথমিকভাবে দেবাংশু কে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বর্তমানে উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছে সুদীপ রাহা। ইতিমধ্যেই এমআরআই করা হয়েছে, সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। আর জয়া দত্ত ভর্তি রয়েছে উডবার্ন ওয়ার্ডের ২০৩ নম্বর কেবিনে । এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আমাদের ছাত্র নেতাদের পুলিশের সামনে দাঁড় করিয়ে মারা হয়েছে। সুদীপের মাথা ফেটেছে। ওদের প্রায় ৩৬ ঘন্টা কোন চিকিৎসা হয়নি। এমনকি অসুস্থ দের জল পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। ওরা এতটা নির্দয় বিজেপি। আমাদের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেও হেনস্থা করেছে। গাড়ি ভাঙচুর করেছে। ওর গাড়ি সাধারণ হলেও তাহলে অভিষেকের মাথা ফেটে যেত। সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর এত সাহস নেই। যারা অত্যাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে কিছুই করা হয়নি। তবে এসব করে তৃণমূল কংগ্রেসকে কখনোই রোখা যাবে না। এমনটাই হুশিয়ার দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।





Others News

পর্ণশ্রীতে মা ও ছেলের নৃশংস খুনের কিনারা পুলিশের

পর্ণশ্রীতে মা ও ছেলের নৃশংস খুনের কিনারা পুলিশের


নিজস্ব সংবাদদাতা ( কলকাতা ) :  পর্ণশ্রীতে মা-ছেলেকে নৃশংভাবে খুনের কিনারা। ধৃতদের একজন সন্দীপ দাস(৩২) ও অন্যজন সঞ্জয় দাস(৪৪)। বাড়ি মহেশতলা থানার শ্যামপুরের ঘোষপাড়া তে। জেরায় তারা অপরাধের কথা কবুল করেছে। রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম।

গ্রেফতার মৃতার দুই মাসতুতো ভাই। ধৃতদের বাড়ি মহেশতলায়। জেরায় অপরাধ কবুল করেছে ধৃতরা। ধৃতদের অনেক টাকা ধার হয়ে গিয়েছিল। মৃতের পরিবারের কাছে অনেক টাকা, গয়না ঘরে ছিল এমনই ধারণা ছিল ধৃতদের। পরিকল্পনা করেই বাড়িতে গিয়েছিল ধৃতরা। ধৃতরা জানত, ওই সময়ে তাদের দিদি সুস্মিতা মন্ডল একা থাকত। মাকে খুনের সময় ছেলে তমজিৎ মন্ডল দেখে ফেলে, সেইজন্যই ছেলেকে খুন। জানালেন জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলিধর শর্মা।
ধৃত সন্দীপ দাস ও অন্যজন সঞ্জয় দাস কে আগামীকাল আলিপুর আদালতে তোলা হবে।